My dream

Deep blue night,
With yellow moon-light.
And a black long tree
Oh! Here I am free!
Here I can do
To what I wish,
Here I can see
The bright copper dish.
Here I can see
With all my eyes-
The moon, the stars,
In the skies.
I think I can fly
In the large sky,
I shall reach the moon
Yes, very soon!
It may be wrong or right,
But it is true that
The sun begins to give light
And drives away my dream and night

অভিমান

কিছুক্ষন আগে মন কষাকষি করে ওর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বনের এদিকটায় এসেছি। সামনের নীল ঝর্ণাটাকে মনে হতে লাগল, যেন আমারই কান্না। কিন্তু, কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রকৃতির অপরূপ রূপে আমি মুগ্ধ হয়ে সব কিছু ভুলে চোখ জুড়াতে লাগলাম। সত্যিই, অপরূপ এষানকার দৃশ্যটা। সামনে নীল পাহাড় গাত্র বেয়ে উপর থেকে সবেগে নেমে আসছে অপরূপ এক ঝর্ণা। যেন কোন সুনয়না নারীর অপরূপ দুটি চোখ। সবুজে সবুজে ভরে গেছে চারিদিক। মাঝে মাঝে লাল নীল ফুলগুলো মুখ উঁকি দিয়ে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে যেন হাজার বছর ধরে এখানে বসন্তই রাজত্ব করছে। হাজার বছর ধরে তার রূপে মুগ্ধ করা হাজার পথিকের আমিও একজন। রূপসী প্রকৃতির এই অপরূপ রূপ যেন সব রূপকে ম্লান করে দেবে। ঝর্ণার পানি ছোট ছোট পাথরের উপর দিয়ে সবেগে বয়ে চলছিল। তন্ময় হয়ে পানিতে আলতো কওে হাত নাড়ছিলাম। হঠাৎ এশটি হাত আলতো কওে পিঠ স্পর্শ করল। চেতনা ফিওে পেলাম। বুঝলাম, ও এসেছে। কিন্তু ফিরে তাকালাম না। শক্ত হয়ে বসে রইলাম। কিছুক্ষন পর হঠাৎ এক ফোঁটা তপ্ত অশ্রু আমার ঘাড় স্পর্শ করল। মুহূর্তে সম্বিত ফিওে পেলাম। ঘুওে তাকালাম। ও কাঁদছে! হৃদয়ে প্রচন্ড আঘাত পেলাম। প্রকৃতির সব রূপ আমার কাছে বিষাক্ত মনে হল। ভালো কওে চেয়ে দেখলাম যা আমি এতক্ষন দেখছিলাম এ তো কিছুই নয়। এ রূপ তো আমি অনেক আগেই দেখেছি। ওর চোখের পানির ঝর্ণার কাছে প্রকৃতির ঝর্ণাটাকে খুবা ম্লান দেখাতে লাগল। কি নির্বোধ আমি! অপরাধীর মত ওর দিকে তাকালাম। আর ভাবতে পারলাম না আমি! আবেগে ওকে জড়িয়ে ধরলাম। ফিসফিসিয়ে বললাম, “ধামায় ক্ষমা কর হে অভিমানিনী!”

বৃষ্টি

কি যে সৃষ্টি,
এত চঞ্চল তবু মিষ্টি
কত অভিমান
নাহি অ্নান
শুধু ক্রন্দন
নাহি বন্ধন
এত কান্না
আনে বন্যা
নভঃ কন্যা
তুমি অনন্যা
আনে অলংকার
কর্ণে ঝংকার,
কত উজ্জ্বল
কত ঝলমল
কওে টলমল
আঁখি ছলছল
কত বিন্দু
আনে সিন্ধু
বহে ধারা
বাঁধন হারা
বহে ঝর্ণা
নীল বর্ণা।

মহাবীর

আমি রণক্ষেত্রের মহাবীর,
আমি ভুলন্ঠিত করি তাহাকে যাহার উচিবে শির
আমি নজরুলেরই বিদ্রোহী, তাঁর কাঙ্খিত কান্ডারী
আমি শুনাতে এসেছি সবাইকে সেই সাবধানী হুঁশিয়ারী
আমি ঝঞ্ঝার বেশে
আরোহন কও অেশ্বেও শেষে
ছুটে যাই সদা সন্মুখ
আমি উন্মুখ।
আমি তরবারিরও ঝংকারে
নিজ মনের অহংকারে
উŽচ করে শির,
যেথায় যত পিশাচ আছে বিদ্ধ করি তীর।
আমি মহাভয়
আমি দুর্জয়।
আমি হই না রণক্লান-,
না হই কখনো শ্রান্ত
আমি ভেঙে করি শেষ
দূর করে ক্লেশ
যত সব ভুল ভ্রান্ত।

সমুদ্রতীরে সন্ধ্যা

সারাদিন চঞ্চলতা। উজ্জ্বল আলো ছড়ানো সোনালী পোশাক পরে শুধু হুটোহুটি, ছুটোছুটি। যেন কোন কিছুতেই ক্লান- হবে না সে। কিন্তু যখন দুরন-পনার জন্য বকুনি খেল, তখন গাল ফুলানো অভিমানিনীর অভিমান দেখে কে? বকুনির চোটে আদুরে মেয়ের গাল দুটো লজ্জার লাল আভায় জড়িয়ে যায়। এতক্ষণে শান- হল সে। গোমরা মুখে লাল টুকটুকে গাল দুটো নিয়ে স্থির চিত্তে বসে থাকে সে। তার চঞ্চলতা যেন চিরনীরবতায় পরিনত হল। সে তার কপালের লাল টিপটিও আর রাখতে চায় না। তার চোখের কোন দুটো চিকচিক করে ওঠে। তার লাল আভায় জড়ানো ছোট দুটো গাল বেয়ে ঝড়ে পড়ে চোখের নীল পানি। মনে হয় যেন সেই নীল পানির বুকে এখনই ডুব দেবে তার গোল লাল টিপটি। একটু পরে হলও তাই। সেই পানিতে টুপ করে পড়ে যায় তার সাধের টিপটি। কান্নার আবেগে মুখ ঢাকে সে। সোনালী জামা না পড়া পর্যন- হাত দুটো তার মুখটিকে অন্ধকারেই ঢেকে রাখে।

ছড়ার কুকিং গাইড

মজার মজার ছড়া,
এ যে কবিতারই বড়া।
কাগজ হল কড়াই
আর কালি হল তেল,
কলম হল খুন্‌তি
এবার দেখাই আমার খেল।
প্রথমে নাও ছটাক ভাবনা
গরম কর দিয়ে ঢাকনা,
ঢাকনা খুলে খুন্‌তি নাড়াও
ভাবনাগুলো এবার সাজাও।
এবার কিছু ঢাল ছন্দ,
ঢাকনা আবার কর বন্ধ।
রান্না হলে নাও স্বাদ,
দেখবে কোন নেই খাদ।
যদি ভাল না হয় রান্না
তাই বলে করো না কান্না।

মানবী নয়, প্রকৃতি

সামনে এগিয়ে চলছিলাম। এত সুন্দর জায়গা আমি জীবনে দেখিনি! পাশে পাশে অজস্র গাছের সারি। সামনের পথটা বেশ উঁচু হয়ে গিয়েছে। শুকনো পাতার মচমচ শব্দটা বাদ দিয়ে ক্ষণে ক্ষণে শোনা যাচ্ছে অবিরাম ঝর্ণাধারার মন নাচানো শব্দ। তার শব্দটাও যেন ঠান্ডা পানির পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে দেহ মনে। ওদিকটায় বেশ কয়েকটা পাখির বিচিত্র শব্দ কানে আসছে। ঝোপে ঝাড়ে ফুটে রয়েছে অসংখ্য পাহাড়ি লাল নীল ফুল। এই জনহীন অরণ্যে ভয় নামের বস্তুটিকে দূরে ঠেলে দিয়ে কি যেন এক অনাবিল প্রশান্তি মনে বিরাজ করছিল।এখানে আমি মুক্ত,স্বাধীন। এখানে নেই নিজেকে অপরের সামনে প্রতিষ্ঠিত করার ব্যস-তা। এখানে নেই, নিজেকে অপরের সামনে ভাবগম্ভীর বা উৎফুল্ল করে তোলার প্রয়োজনীয়তা। কারণ, এখানে আমার একমাত্র প্রতিপক্ষ প্রকৃতি। কেমন যেন একটা নিস-ব্ধ পরিবেশ। প্রকৃতির মোহনীয়তা যেন এখানে চাঞ্চল্য ছেড়ে সন্ন্যাসীনীর রূপ ধরেছে। শত সহস্র দন্ডায়মান গাছগুলো যেন তার রূপের মহিমা ঘোষণা করছে। সে অপরূপা হয়েও আত্মরক্ষায় সবলীয়ান। তার লাল নীল ফুলের গাছগুলোর নিচেই রয়েছে অজস্র কাঁটার ঝোঁপ। তার কঠিন পাথরগুলোর গা বেয়েই বয়ে চলছে স্বচ্ছ পানির অপরূপ ঝর্ণা। তার গাছগুলোর কোমল পাতার নিচেই রয়েছে ইস্পাতরূপ কান্ড।

আর একটু এগিয়ে গেলাম। পাহাড়ের নীলাভ গা বেয়ে সশব্দে নেমে আসছে বড় রবমের একটি ঝর্ণা। মনে হয় যেন এ জায়গাটিই এই অপরূপ লীলাভূমির রাজধানী। প্রকৃতি এখানে কৃপণতা প্রকাশে অত্যন- কৃপণ। অরণ্যের যে টুকরো টুকরো রূপগুলো পথের মাঝে এক এক জায়গায় দেখেছিলাম, তার সমস-ই যেন একসাথে এ জায়গাটিতে বিদ্যমান। সূর্যের আলো এদিকটায় তেমন আসছে না। সূর্যের আলোকে উপেক্ষা করে নিজেদের রূপের রোশনাই জ্বালানোই যেন গাছগুলোর উদ্দেশ্য।

ঝর্ণার স্বচ্ছ পানির আবরণ ভেদ করে বেড়িয়ে আসছে নীলাভ পাথর গাত্র। কোথা থেকে যেন দুই একটা হলুদ ফুল বয়ে চলছে পানির পথ ধরে। তারই মাঝে আবার একটা গাছ মাথা ঝুকিয়ে ওপারে যাওয়ার রাস্তা  তৈরি করেছে। ………

অন্য কারও মত নিজের প্রশংসা না করে আমি বলতে পাচ্ছি না যে, আমার এই লেখা কারও মনে ছবি আঁকার বাসনা বা কবিতা লেখার ইচ্ছা সৃষ্টি করবে না।

মজার মামা

সেদিন গিয়েছিলাম মামার বাসায়। মামা আমাকে দেখেই বলে উঠলেন, “আরে এ যে কানাই! তা একেবারে খবর ছাড়াই। রইছ কেন দাঁড়াই? কিভাবে যে… তোমাকে বসাই? আরে ওরে সব কসাই! আন তো দেখি খানাই। এখন খাও শুধু শশাই।” “হয়েছে! হয়েছে!! তা বলুন তো মামা, আপনি কেমন আছেন?” “আরে তা তো তোমার জানাই। তা চল এখন বাজাই। তবে তবলা ছাড়াই।” “ঠিকাছে।ঠিক এই মুহূর্তে দরজায় কে যেন কলিং বেল টিপল। মামা বলে উঠলেন, “এ আবার কোন মশাই!” “মামা ভিক্ষুক এসেছে, চলে যেতে বলব?” মামা বললেন, “না হয় যাক একটা ভিক্ষাই, দিয়ে দাও এক পাই।ভিক্ষুককে পয়সা দিয়ে মামার পাশে বসলাম। মামা বললেন, “এস আমরা সুর বানাই, তবে হারমোনিয়াম ছাড়াই, শুধু সাথে নিয়ে সানাই। তবে এতে তোমার মামীর রয়েছে মানাই। তা বাদ দাও ওসব বালাই। গলাকে কর ঝালাই।সানাই দিয়ে কেউ সুর বানায় জীবনে শুনিনি। তবে মামার বানানো সুর মামারই উর্বর মস্তিষ্কজাত কি না! কিনসানাই বাজানোর সংগে সংগে মামী চিৎকার করে উঠল। তখন মামা ভয়াল কন্ঠে বলে উঠল, “কেন যে হয়েছিলাম জামাই, না হলে কি এখন পালাই।মামার প্রস্থান।

যদি এমন নাই বা হল

এমন হত যদি; ধর, আমি হঠাৎ করে হলাম একটি নদী। যদি হতাম নদী, আমি হতাম তবে ঝরনা; ঝরনা যদি হতাম আমি, হতাম নীল বর্ণা। নীল যদি হতাম আমি, হতাম তবে আকাশ; সারাদিন আমি তবে, খেতাম ঠান্ডা বাতাস। ঠান্ডা বাতাস খেতাম যদি, হতাম তবে ঠান্ডা; ঠান্ডা হলে গরম হতাম মাথায় মেরে ডান্ডা। ডান্ডা মারায় ফাটত মাথা, ফাটা মাথায় বাড়ত ব্যাথা, লাভ বল কি বাড়িয়ে কথা, ওসব চিন-া রাখ যথা। এর চেয়ে বলি- আছি বেশ, আমার কথা হল শেষ।