অপার্থিব আলো

প্রজাপতির মত সুন্দর আর সিফাত রঙের আলো;
জাফরানের মৌ মৌ ঘ্রানে… কেমন যেন লাগছে ভালো।

প্রজাপতির মত সুন্দর? তাই বুঝি? অত সুন্দর পাখা?
তা আর বলছি কি! কিছু নয় তোমার দামি চুরি শাঁখা।

বেলি নয়, গোলাপ নয়; হঠাৎ জাফরান?
তাই তো বলছি,
বেলি, গোলাপ ছাড়িয়ে গেছে,
সুবাস ভরা আমার প্রান।

ঘ্রান, ফুল, প্রজাপতি; সবই হল বুঝে সারা,
শুধু ওই সিফাত রঙের আলো ছাড়া
ও আবার কেমন আলো?
বই প্ত্র ঢের ঘেঁটেছি, পাইনি ভালো।

ও কেমন রঙের আলো? রং দেখেছি হৃদয় চোখে
নরম আলোর ছোঁয়া শধু এই প্রান যে বোঝে

পাইনি কোথাও খুজে; অনেক আভিধান।
নামটা তাই আমার দেয়া, অনুভবে প্রান।

দীপ

মেয়েটির নাম দীপ। পাঠকগণ নিশ্চয়ই ভাবছেন, আহা! গল্পটা জমবে বটে। এর পরের লাইনটা হয়ত হবে “দীপ্তির মতই তার রূপের আলো।” নিশ্চয়ই কোন লাভ স্টোরি বা প্রেমাখ্যান। একটু মজা করে পড়া যাবে। গল্পের মাঝখানে হয়ত দেখা যাবে একটি সুন্দর ছেলে, তারপর কমেডি বা ট্রাজেডি। না পাঠকগণ, আপনারা যা ভাবছেন তা নয়। এখানে যে মেয়েটির কথা বলছি শ্যামলা, সাদাসিধে একটা চেহারা তার। তবে খুব সুন্দর! প্রেমিকা হয়ে প্রেমিকের মনে আসন পাওয়ার মত রূপ তার আছে কি না জানি না, তবে দেবী হয়ে ভক্তের মনে আসন পাওয়ার মত যোগ্যতা তার মুখখানি রাখে। আসলে, আমি তাকে ভালেবাসি তাই সে আমার প্রেমিকা। তবে আমি তার সাথে কথা বলতে, তাকে ছুঁতে ভয় পাই। তাই সে দেবী। তার নাম জপ করা ছাড়া আমি আর কিছুই করতে পারি না। স্রষ্টা যেন তাকে তৈরির সময় দেখছিলেন তার সৃষ্টিটি যেন খুব বেশি সুন্দর হয়ে যাচ্ছে, তাই ইচ্ছে করেই তিনি তার সৃষ্টিকে অসমাপ্ত রেখেছেন। তাকে দেখে যেন মনে হয় এর চেয়ে বেশি সুন্দর হলে যেন তাকে আর সুন্দর দেখাত না। যাই হোক গল্পের মাঝখানে একটা জায়গায় হয়ত আমি বলেছি সে আমার প্রেমিকা। মাফ চাইছি। সে আমার প্রেমিকা কি না জানি না, তবে আমি তার প্রেমিক এটুকু বলতে পারি। আর বিশেষ কিছু বলার নেই। গল্পটা শুরু করি। প্রায়ই গোলাপী রং এর একটা জামা পরে আসত সে। খুব সুন্দর দেখাত তাকে। এরপর …..। এরপর যদি পাঠকরা আমাকে বলতে বলেন তাহলে সেগুলো হবে মনগড়া। যদি বলি তার সাথে একদিন কথা হল, এরপর অন্তরঙ্গতা, তাহলে এগুলো হবে সব মিথ্যে। আসলে ওর সাথে কোনদিন আমার কথাও হয়নি। কারণ ঐ যে বললাম, “ভয়”। তবে মাঝে মাঝে মনে হয়, যদি অভয় পেতাম ওর কছে যাবার, যদি গল্পটা শেষ করার মত সত্যিই কোন কাহিনী থাকত!

 

৯/৩/২০০১
খালিদ নাজমুস সাকীব

 

তোমার জন্য নয়

ফাল্গুনের এই শুভ্র দিনে তোমায় মনে পড়ে,
রঙ বেরঙের ফুল গুলো তাই বসন্ত নাম ধরে।
সিন্ধু গেলেও, তুমি আমার থাকবে বুকের মাঝে।
মন যে আমার থাকবে পড়ে তোমার পাশে কাছে।
তারা ভরা নীল আকাশ আর স্বপ্ন দেখে দেখে,
রাত কেটে যায় তোমায় আদর ভালোবাসা মেখে।
নতুন নতুন স্বপ্ন দেখি চাই যে কিনে দিতে;
নুপুর, রূপো, সোনা, চুরি আরও কত কিজে!
মন মানে না তোমায় ছাড়া আর লাগে না ভালো,
তিরতিরিয়ে বইছে নদি, কাটছে দিনের আলো।
য়ালো আছে অন্তরে তাই; শুরু অন্তস্থিয় আ তে,
সারা হৃদয় জুরে তুমি, থাকব তোমার সাথে।

Just a poem

Flower in the garden,
And light on the leaf.
Rare to find,
Souls with belief.
I love her with,
My all of those adore;
The flower, the garden,
And the light that lights the core.
Rain comes down,
And rolls down to shore.
Neil is neither vast,
Nor anything you can cast.
Under the great void and open sky,
My love’s so great, you can’t deny.

 

ভয়ংকর সুন্দর

একবার পার্বত্য চট্টগ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলাম। বন আর জঙ্গলের মাঝ দিয়ে আঁকা-বাঁকা, উঁচু-নিচু পথ। একা পথ চললে কেমন যেন একটা নির্জনতা গ্রাস করে। তো একবার একাই ঐ পথ ধরে হাঁটছিলাম। চারিদিক নিরব। সূর্যের আলো এই আসে আবার এই আসে না। পাখির মিষ্টি ডাক বিরামহীন ভাবে কানে না শোনা গেলেও চোখকে কিন্তু কোন ভাবেই বিশ্রাম দিতে পারছিলাম না। আজ হলটা কি! চারিদিকে লাল নীল এত রং! এত ফুল! পলাশ, শিমুল চিনলেও আর কতগুলোর নাম জানি না। দেখে যেন মনে হয় কতগুলো বিষাক্ত। মনে পড়ল এখন বসন্ত কাল। বসন্তের সাজে সেজেছে প্রকৃতি। যত হেঁটে চলেছি বনের গভীরে, নীরবতা যেন আরও গভীরতর হচ্ছে। এত নীরবতা যে শুকনো পাতার মরমর ধ্বনিগুলো খুব বেশি কানে আসছিলো। মনে হচ্ছিল তারা যেন আমার সাথে কথা বলছে। আমি যেন কেমন একটু ভয়ই পেয়ে গেলাম। “ভয়ংকর সুন্দর” কথাটাকে এই প্রথম উপলব্ধি করলাম। মনে মনে ভাবলাম, ইস! এই মুহূর্তে যদি সে আমার পাশে থাকত! কিন্তু পর মুহূর্তেই ভাবলাম না; তাহলে এভাবে অপরূপ প্রকৃতির সাথে ভয়ংকর সুন্দও মুহূর্তগুলো কিভাবে কাটাতাম? দুজনের কথার স্রোতে পাতার মরমর ধ্বনিটুকু কি ম্লান হয়ে যেত না? ফুলের পাপড়িগুলো কে কি তখন অপমানে মলিন দেখাতো না? কে সুন্দর তা বিচার করার জন্য আমাকে বিচারকের আসনে বসতে হত! আমি আমার এ সুন্দও মুহূর্ত গুলো হারিয়ে ফেলতাম। উফ! কি অসহ্য হত সেই মুহূর্ত। কাজেই অন্য সব চিন্তা বাদ দিয়ে আমি আরও গভীওে হেঁটে চললাম। ঐ মুহূর্তে আমার আর প্রকৃতির মাঝে অন্য কারও উপস্থিতি ছিল অবাঞ্ছিত।

স্বকীয়তা

ঢাকা থেকে সিলেট যাচ্ছিলাম। দু’পাশে অবারিত সবুজ। দেখতে দেখতে চোখ জুড়িয়ে এল। লম্বা লম্বা গাছের সারি। কিন্তু এত সুন্দরের মাঝেও চোখদুটো যেন খোলা থাকতে চাইছিল না। তন্দ্রা আসছিল। এর আগেও অবশ্য একবার আমি সিলেট গিয়েছি। তখন অবশ্য এরকম হয়নি। চোখ খুলে দেখেছিলাম দুপাশের সৌন্দর্য। মনে এখনো দাগ কেটে আছে। তাই হয়ত সেকেন্ড টাইম দেখার আগ্রহটা একটু কম। কিন্তু বসে বসে ঝিমুলে কি হবে, এর মাঝেও যতটুকু পারছি চোখদুটো ঐ সবুজের দিকে ব্যস্ত রাখছি। এরই মধ্যে মাথাটাকে একটু এলিয়ে দিলাম। সত্যিই! কি সুন্দর এই বাংলাদেশ। উঁচু উঁচু পাহাড়। পুরোটা সবুজে ঢাকা। যেন সবুজের চাদও মুড়িয়ে আছে। তারই মাঝে মাঝে পাহাড়ের বুক চিঁড়ে দু তিনটে সাদা ঝরণা। দৃশ্যটা যে কি মনোরম, তা একমাত্র যে দেখেছে সেই ভাবতে পারে। “চারিদিকে সবুজের সমারোহ। মাঝ দিয়ে দু’তিনটি নদী বয়ে যাচ্ছে।” মনে করেন এই দৃশ্যটাই যদি আপনার সামনে কাত করে তুলে ধরা হয় তাহলে যে দৃশ্যটা হবে সেটা। হঠাৎ একটা মৃদু ধাক্কা খেলাম। তন্দ্রাটা ভেঙে গেল। তাকিয়ে দেখি কোথায় সবুজ! ট্রেন এখন ব্রীজের উপরে। অনেক নিচে পানি। দুপাশে কিছুই নেই। তার মানে আমি এতক্ষণ ঘুমুচ্ছিলাম। ঘুমের মাঝে এত কিছু দেখছিলাম! মানে স্বপ্ন! তাহলে কি আমার মনের মাঝেও এরকম একটা কল্পনার সবুজ জগৎ আছে যেখানে সবুজ পাহাড়ের মাঝে রয়েছে সাদা ঝরণা। আমি যদি এখন পাতাল ট্রেনে চড়ে ৫১০ কি.মি. বেগে টোকিও থেকে নাগাসাকি যেতাম তাহলেও কি ঝিমুতে ঝিমুতে একই দৃশ্য দেখতাম। হয়ত দেখতাম। আর হয়ত এ কারণেই আমি সেখানেও হতাম বাংলাদেশী। আর পাতাল ট্রেনে আমার পাশের সিটে বসা বন্ধুটি হত জাপানী। ব্যাপারটি বেশ ভাবনার; কি বলেন।

Lotus

Pink Lotus
With pretty blush,
Ripples of water
Shake and dash.
Slim and slender,
Floats over the water.
Floating leaves
As a green shore,
Waves on the water
And in my core.
As the breeze pass
Over a green carpet
The beauty dance,
Take a glance,
The glance will be winkless look
That you took.
Or think you are a mighty King
Before you she sing,
You see her with tickled eye.
She bends down the head
With a desired shy.

গাজী সালাউদ্দিন

ঐ আসছে ধলি ঝড়
ঘোড়ার খুরের দাবানল
দেখ চেয়ে দেখ জেরুজালেমের পথে,
বিশ্ববিজয়ী বীরের দল
কেউ ঘোড়ায়, কেউ রথে।
যারা ফিরছে জয় করে
কান্দাহার কাবুল,
যাদের পায়ের নিচে
কনস্টান্টিনোপল হয়েছে ইস্তাম্বুল।
যারা করল জয়
কাইজারের বাইজান্টাইন
আর খসরুর ইরান,
যারা রোপল জ্ঞানের শিকড়,
গড়ল বাগদাদ, দামেস্ক, বসরা
যা ছিল বিরাণ।
যাদের দেখে প্রতাপশালী
রোম কাঁপে থরথর,
ঐ আসছে মরু বীর
গেল গেল বুঝি ভেঙে
বড় বেশি নড়বড়।
তাঁদের উত্তরসূরি একজন
সেই ভূবন শ্রেষ্ঠ বীর,
ভিত নাড়াতে আসছে
এবার প্রাচ্যের শিবির।
গাজী সালাউদ্দিন,
তুমি বিপ্লবীদের কাণ্ডারী
ফ্রাঙ্ক আর ব্রিটন্‌সদের
তুমি শুনালে হুঁশিয়ারী।
ধরলে জেরুজালেম বাজী
সালাউদ্দিন, বীর গাজী।
জেরুজালেম আসল
শধু তোমারই পদতলে,
চেয়ে দেখে ইউরোপ
উড়ছে প্রাচ্যের পতাকা
আকাশে, বাতাসে; জলে, স্থলে।
গাজী সালাউদ্দিন
শুধব কিভাবে ঋণ
চেয়ে দেখ আজ তোমার শক্তি
কিভাবে হচ্ছেক্ষীণ।

আজও প্রাচ্যের আকাশ
কাঁদে শিশুর মত,
কোনদিন শুকাবে না
তোমাকে হারাবার ক্ষত।
সালাউদ্দিন, তুমি আবার এস
ঘোড়ার উপরে সেই গর্বিত শির
প্রস্তুত অভুক্ত, কৃষাঙ্গ
আর শোষিতদের শিবির।
খোলা তলোয়ার নিয়ে ছুটে এস
মুক্ত কর মোদের, ভাঙ জিঞ্জির
পৃথিবীর কনে যে দামেশ্‌ক
তার তুমি বীর।
নও তুমি সুলতান, নও তুমি সম্রাট
তুমি শুধু ছিলে সারাসিন্‌দের নেতা
লক্ষ্য ছিল তোমার জেরুজালেম,
নয় বিশ্ব বা ক্ষমতা জেতা।
সভ্যতার রূপকার তুমি
আল-আকসার বীর সেপাই,
বর্বরদের সাথে করেছ বিপ্লব
দাওনি রেহাই।
আজ কাঁদে শোষিতদের দল
কাঁদে দূর্বল, শুধু চোখে জল।
আজ কাঁদে বিশ্ব
কি করুণ, কি অসহ্য এই দৃশ্য
আজ কাঁদে ফিলিস্তীন,
তুমি কোথায়! তুমি কোথায়!!
গাজী সালাউদ্দিন।

The story of an evening

It was the story of Adonis and Venus. Venus fell into love with Adonis at first sight. Adonis was a beautiful youth. He was a cowboy. But he had not only to take care of the cattle in his pasturage but also to give his time to a doe in the jungle. Because Adonis also loved Venus very much. They met together every evening in the jungle, which was inside of his pasturage and talked of their love.

 

One evening of the spring, Adonis went to the forest to meet his lover. Then the whole nature arranged herself with all her beauty. But unnaturally the weather was very bad. It seemed that the air, the trees all were springing up with the coming of spring.

 

However, when Adonis saw Venus waiting on the top of the hill his eyes forgot to shut their eyelids. How beautiful she was! He became emotional and could no longer keep silent. He called her with the words of love and said, “Oh, the stream of my heart! Make me a stone with your magic stick. Then fall on and flow over me.” Venus came down on the earth and put of her wings. Then she said, “Oh, my sweet heart! Don’t tell this. I don’t want to be a stream where you are a stone. If you want to be a stone, I will be a moss on you.”

 

-No, you can’t be a simple thing like this. You are my rose, make me a tub under you.

 

-No, my lover, I don’t want to be a rose. When you hold me, I can’t hit you with my thorns.

 

-Oh, the queen of beauty, yes I want this, I want this at any cost. Hurt me! Love me! Embrace me!

 

-Oh, my dear! How great your love is for me!

 

-No my heart! I don’t want to insult your love to say my love greater than yours. But I want to say that though I love you with all my heart, it seems to me very little for you. The sun will set, the moon will rise and also set. But my love for you will stay forever. The sun is true, but it sets. My love is true, but it never sets. My love is truer than the sun, than everything.

 

Venus wanted to say something. But soon a storm began. The air, the trees, the leaves all were quarrelling to each other. The sky became reddish. Suddenly the storm became more terrible. Adonis embraced Venus strongly. But a long tree was broken down on Adonis. But it could not do any harm to Venus. Venus cried out for her lover. Soon the storm stopped. Venus found Adonis dead that broke her heart. She cried out with sorrow, “Why did you fall on my heart, the old, cruel tree?” Suddenly a strange voice told her, “When you were talking of love to each other, all flowers of my branches bloomed and heard your talking. For this, I became heavy. I couldn’t keep myself standing when the storm began. Then Venus said, “All right. Now it is the time of my death. Because, I am also heavy with so much grief.” Venus took Adonis in her arms and put on her wings. Then she went near the sky with her wings. She saw that the sky was blue and clear. She cried out, “Why are you so gentle now? Why did you become so cruel then?” An another voice said, “Forgive me! To remove my red I took the blue of your love and make myself blue again. Oh! How vast your love for each other!” Venus angrily said, “Cruel fellow, stay with your blue. I don’t want to fly over you.” Venus put off her wings, though she was in the sky. She fell down in the vast sea with Adonis.