অভিমান

কিছুক্ষন আগে মন কষাকষি করে ওর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বনের এদিকটায় এসেছি। সামনের নীল ঝর্ণাটাকে মনে হতে লাগল, যেন আমারই কান্না। কিন্তু, কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রকৃতির অপরূপ রূপে আমি মুগ্ধ হয়ে সব কিছু ভুলে চোখ জুড়াতে লাগলাম। সত্যিই, অপরূপ এষানকার দৃশ্যটা। সামনে নীল পাহাড় গাত্র বেয়ে উপর থেকে সবেগে নেমে আসছে অপরূপ এক ঝর্ণা। যেন কোন সুনয়না নারীর অপরূপ দুটি চোখ। সবুজে সবুজে ভরে গেছে চারিদিক। মাঝে মাঝে লাল নীল ফুলগুলো মুখ উঁকি দিয়ে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে যেন হাজার বছর ধরে এখানে বসন্তই রাজত্ব করছে। হাজার বছর ধরে তার রূপে মুগ্ধ করা হাজার পথিকের আমিও একজন। রূপসী প্রকৃতির এই অপরূপ রূপ যেন সব রূপকে ম্লান করে দেবে। ঝর্ণার পানি ছোট ছোট পাথরের উপর দিয়ে সবেগে বয়ে চলছিল। তন্ময় হয়ে পানিতে আলতো কওে হাত নাড়ছিলাম। হঠাৎ এশটি হাত আলতো কওে পিঠ স্পর্শ করল। চেতনা ফিওে পেলাম। বুঝলাম, ও এসেছে। কিন্তু ফিরে তাকালাম না। শক্ত হয়ে বসে রইলাম। কিছুক্ষন পর হঠাৎ এক ফোঁটা তপ্ত অশ্রু আমার ঘাড় স্পর্শ করল। মুহূর্তে সম্বিত ফিওে পেলাম। ঘুওে তাকালাম। ও কাঁদছে! হৃদয়ে প্রচন্ড আঘাত পেলাম। প্রকৃতির সব রূপ আমার কাছে বিষাক্ত মনে হল। ভালো কওে চেয়ে দেখলাম যা আমি এতক্ষন দেখছিলাম এ তো কিছুই নয়। এ রূপ তো আমি অনেক আগেই দেখেছি। ওর চোখের পানির ঝর্ণার কাছে প্রকৃতির ঝর্ণাটাকে খুবা ম্লান দেখাতে লাগল। কি নির্বোধ আমি! অপরাধীর মত ওর দিকে তাকালাম। আর ভাবতে পারলাম না আমি! আবেগে ওকে জড়িয়ে ধরলাম। ফিসফিসিয়ে বললাম, “ধামায় ক্ষমা কর হে অভিমানিনী!”

Leave a Reply