Category: খুদে রস রচনা

মজার মামা

সেদিন গিয়েছিলাম মামার বাসায়। মামা আমাকে দেখেই বলে উঠলেন, “আরে এ যে কানাই! তা একেবারে খবর ছাড়াই। রইছ কেন দাঁড়াই? কিভাবে যে… তোমাকে বসাই? আরে ওরে সব কসাই! আন তো দেখি খানাই। এখন খাও শুধু শশাই।” “হয়েছে! হয়েছে!! তা বলুন তো মামা, আপনি কেমন আছেন?” “আরে তা তো তোমার জানাই। তা চল এখন বাজাই। তবে তবলা ছাড়াই।” “ঠিকাছে।ঠিক এই মুহূর্তে দরজায় কে যেন কলিং বেল টিপল। মামা বলে উঠলেন, “এ আবার কোন মশাই!” “মামা ভিক্ষুক এসেছে, চলে যেতে বলব?” মামা বললেন, “না হয় যাক একটা ভিক্ষাই, দিয়ে দাও এক পাই।ভিক্ষুককে পয়সা দিয়ে মামার পাশে বসলাম। মামা বললেন, “এস আমরা সুর বানাই, তবে হারমোনিয়াম ছাড়াই, শুধু সাথে নিয়ে সানাই। তবে এতে তোমার মামীর রয়েছে মানাই। তা বাদ দাও ওসব বালাই। গলাকে কর ঝালাই।সানাই দিয়ে কেউ সুর বানায় জীবনে শুনিনি। তবে মামার বানানো সুর মামারই উর্বর মস্তিষ্কজাত কি না! কিনসানাই বাজানোর সংগে সংগে মামী চিৎকার করে উঠল। তখন মামা ভয়াল কন্ঠে বলে উঠল, “কেন যে হয়েছিলাম জামাই, না হলে কি এখন পালাই।মামার প্রস্থান।

যদি এমন নাই বা হল

এমন হত যদি; ধর, আমি হঠাৎ করে হলাম একটি নদী। যদি হতাম নদী, আমি হতাম তবে ঝরনা; ঝরনা যদি হতাম আমি, হতাম নীল বর্ণা। নীল যদি হতাম আমি, হতাম তবে আকাশ; সারাদিন আমি তবে, খেতাম ঠান্ডা বাতাস। ঠান্ডা বাতাস খেতাম যদি, হতাম তবে ঠান্ডা; ঠান্ডা হলে গরম হতাম মাথায় মেরে ডান্ডা। ডান্ডা মারায় ফাটত মাথা, ফাটা মাথায় বাড়ত ব্যাথা, লাভ বল কি বাড়িয়ে কথা, ওসব চিন-া রাখ যথা। এর চেয়ে বলি- আছি বেশ, আমার কথা হল শেষ।