দীপ

মেয়েটির নাম দীপ। পাঠকগণ নিশ্চয়ই ভাবছেন, আহা! গল্পটা জমবে বটে। এর পরের লাইনটা হয়ত হবে “দীপ্তির মতই তার রূপের আলো।” নিশ্চয়ই কোন লাভ স্টোরি বা প্রেমাখ্যান। একটু মজা করে পড়া যাবে। গল্পের মাঝখানে হয়ত দেখা যাবে একটি সুন্দর ছেলে, তারপর কমেডি বা ট্রাজেডি। না পাঠকগণ, আপনারা যা ভাবছেন তা নয়। এখানে যে মেয়েটির কথা বলছি শ্যামলা, সাদাসিধে একটা চেহারা তার। তবে খুব সুন্দর! প্রেমিকা হয়ে প্রেমিকের মনে আসন পাওয়ার মত রূপ তার আছে কি না জানি না, তবে দেবী হয়ে ভক্তের মনে আসন পাওয়ার মত যোগ্যতা তার মুখখানি রাখে। আসলে, আমি তাকে ভালেবাসি তাই সে আমার প্রেমিকা। তবে আমি তার সাথে কথা বলতে, তাকে ছুঁতে ভয় পাই। তাই সে দেবী। তার নাম জপ করা ছাড়া আমি আর কিছুই করতে পারি না। স্রষ্টা যেন তাকে তৈরির সময় দেখছিলেন তার সৃষ্টিটি যেন খুব বেশি সুন্দর হয়ে যাচ্ছে, তাই ইচ্ছে করেই তিনি তার সৃষ্টিকে অসমাপ্ত রেখেছেন। তাকে দেখে যেন মনে হয় এর চেয়ে বেশি সুন্দর হলে যেন তাকে আর সুন্দর দেখাত না। যাই হোক গল্পের মাঝখানে একটা জায়গায় হয়ত আমি বলেছি সে আমার প্রেমিকা। মাফ চাইছি। সে আমার প্রেমিকা কি না জানি না, তবে আমি তার প্রেমিক এটুকু বলতে পারি। আর বিশেষ কিছু বলার নেই। গল্পটা শুরু করি। প্রায়ই গোলাপী রং এর একটা জামা পরে আসত সে। খুব সুন্দর দেখাত তাকে। এরপর …..। এরপর যদি পাঠকরা আমাকে বলতে বলেন তাহলে সেগুলো হবে মনগড়া। যদি বলি তার সাথে একদিন কথা হল, এরপর অন্তরঙ্গতা, তাহলে এগুলো হবে সব মিথ্যে। আসলে ওর সাথে কোনদিন আমার কথাও হয়নি। কারণ ঐ যে বললাম, “ভয়”। তবে মাঝে মাঝে মনে হয়, যদি অভয় পেতাম ওর কছে যাবার, যদি গল্পটা শেষ করার মত সত্যিই কোন কাহিনী থাকত!

 

৯/৩/২০০১
খালিদ নাজমুস সাকীব